ফুডগ্রেডবিহীন ড্রামে ভোজ্যতেল ব্যবহারের প্রতিবাদে হবিগঞ্জে ক্যাবের মানববন্ধন

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: অস্বাস্থ্যকর, অনিরাপদ ও ফুডগ্রেডবিহীন ড্রামের ভোজ্যতেল ব্যবহারের প্রতিবাদে কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) হবিগঞ্জ জেলা কমিটি মানববন্ধন ও লিফলেট বিতরণ করেছে।

বুধবার বেলা সাড়ে ১২টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়৷

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নিমতলা প্রাঙ্গণে সর্বস্তরের নাগরিক ও ভোক্তাদের নিয়ে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ ও মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন ক্যাব হবিগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি মো: দেওয়ান মিয়া৷

ক্যাব হবিগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শরিফ চৌধুরীর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন রাজশাহী ক্যাবের সদস্য এডভোকেট তকদির মোহাম্মদ বেনজির, কবি ও প্রাবন্ধিক অপু চৌধুরী, মানবসেবা সামাজিক সংগঠনের সভাপতি ফরহাদ চৌধুরী, ক্যাবের প্রচার সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম জীবন, দৈনিক প্রভাকর পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সহিবুর রহমান, এখন টিভির জেলা প্রতিনিধি কাজল সরকার, দৈনিক সংবাদের জেলা প্রতিনিধি শাহ আলম, দেশটিভির জেলা প্রতিনিধি আমির হামজা, নবীগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি আশাহিদ আলী আশা, মাধবপুর প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হামিদুর রহমান, ক্যাব সদস্য আজিজুল ইসলাম হ্রদয় প্রমুখ৷

সভায় বক্তারা বলেন, ভোজ্যতেলে ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধকরণ আইন, ২০১৩ অনুযায়ী ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধকরণ ব্যতীত ভোজ্যতেল বাজারজাতকরণ দণ্ডনীয় অপরাধ। উক্ত আইন এবং “ভোজ্যতেল ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধকরণ বিধিমালা, ২০১৫” অনুযায়ী, সকল ভোজ্যতেলে নির্ধারিত মাত্রায় ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধকরণ বাধ্যতামূলক। সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, ড্রামে বাজারজাতকৃত ৫৯ শতাংশ ভোজ্যতেল ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ নয় এবং ৩৪ শতাংশ ভোজ্যতেলে সঠিকমাত্রায় ভিটামিন ‘এ’ নেই। খোলা ড্রামের অনিরাপদ ভোজ্যতেল ব্যবহারের কারণে মানুষের মধ্যে নানাবিধ রোগব্যাধি বিশেষত অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। এ কারণে ওই সকল ড্রামে ভোজ্যতেল বাজারজাত বন্ধে নির্দেশ প্রদান করে তা বাস্তবায়ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, এজেন্সিসমূহ, ভোজ্যতেল রিফাইনারী এবং প্যাকার্সসমূহকে অনুরোধ/নির্দেশনা প্রদান করেছে। ২০২২ সালের ০২ জুন শিল্প মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পরিস্থিতি বিবেচনা করে ড্রামে ভোজ্যতেল বাজারজাতের সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে। একই আদেশে উক্ত সময়ের পর শতভাগ ভোজ্যতেল ফুডগ্রেড বোতল ফয়েল পাউচপ্যাকে বাজারজাত নিশ্চিত করতে নির্দেশ প্রদান করেছে। পাশাপাশি নির্বাচন এবং রমজান বিবেচনা করে অনানুষ্ঠানিক ভাবে ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা রমজান মাস পর্যন্ত সময় পেয়েছেন। তথাপি এখন পর্যন্ত ওই সকল ড্রামে বাজারজাত করা হচ্ছে এবং শতভাগ প্যাকেটজাত হচ্ছেনা। ফলে জনগণকে অনিরাপদ ভোজ্যতেল খেতে বাধ্য করা হচ্ছে।

ভোক্তার স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য অবিলম্বে নন-ফুডগ্রেড ড্রামে ভোজ্যতেল বাজারজাত বন্ধকরণে সরকারি নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে সরকার ও স্থানীয় প্রসাশনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এলাকায় সর্বসাধারণের মাঝে সচেতনামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়৷ পরে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়৷